আমার হিজাব চিন্তা

অমুসলিম পরিবেশে বড় হওয়া আর অমুসলিমদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে ইসলাম চর্চা করাটা খুব সহজ ছিল না। আমি আমার আর দশজন বন্ধুর সাথে গতানুগতিক জীবনধারায় গা ভাসিয়ে দিয়েছিলাম। আধুনিকতার যত শাখা আছে আমি তার সবগুলোতে বিচরণ করতে চেষ্টা করতাম। আমি আমার সৌন্দর্য প্রকাশের ক্ষেত্রেও তাদের স্টান্ডার্ড বজায় রাখতাম। আমার ভেতর ‘মেকাপ’ কেন্দ্রিক আত্নমর্যাদা গড়ে উঠেছিল। আর এই আত্নমর্যাদাই আমাকে দ্বীন থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল।

এতদসত্ত্বেও আমি আমার ধর্মীয় পরিচয় থেকে কখনও নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারতাম না। আমি অনুভব করতাম— স্কুলের অন্যদের চাইতে আমি আলাদা। তাদের সবার থেকে আমার দ্বীন ভিন্ন। আমি আমার পরিচয় নিয়ে বিব্রত বোধ করতাম। এভাবে আমার হাইস্কুলের দিনগুলো কেটে গেল নিজের পরিচয় আর জীবনধারা নিয়ে লাড়াই করতে করতে।

আমি এ প্রশ্নের উত্তর বহুবার খোঁজার চেষ্টা করেছি— আমি কে? আমার পরিচয় কী?
প্রতিবারই উত্তরে মিলেছে ‘শূণ্যতা’। এত আধুনিক পরিবেশেও আমি নিজেকে একা অনূভব করতাম।

হিজাব সম্পর্কে আমার ধারণা ছিল খুবই কম। আমি মনে করতাম হিজাব শুধুই একটি শালীন পোশাক অথবা হিজাব শুধুই পুরুষের খারাপ দৃষ্টি থেকে নারীদের রক্ষা করার একটি পোশাক মাত্র। কিন্তু আমার

This entry was posted in Uncategorized. Bookmark the permalink.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *